বাংলা ব্যাকরণ(বাগধারা) ~ All Pdf book

News

বাংলা ব্যাকরণ(বাগধারা)

Document

বাংলা ব্যাকরণ

বাগধারা


১. অগাধ জলের মাছ (খুব বিচক্ষণ)—রমজান আলী হলো একজন অগাধ জলের মাছ, তার সঙ্গে চালাকিতে পারা যাবে না ।

২. অকালকুষ্মাণ্ড (অপদার্থ) – সেলিমের ছেলেটি লেখাপড়া তো শিখেইনি, কোনো কাজকর্মও জানে না, একেবারে অকালকুষ্মাণ্ড।

৩. অমাবস্যার চাঁদ (অদর্শনীয়)— বড় চাকরি পাওয়ার পর তোমাকে দেখাই যায় না যে, অমাবস্যার চাঁদ হয়ে উঠলে নাকি?

৪. অহি-নকুল সম্বন্ধ (ভীষণ বৈরিভাব)—সম্পত্তি নিয়ে তাদের মধ্যে একেবারে অহি-নকুল সম্বন্ধ, একে অপরের নামটি পর্যন্ত শুনতে পারে না ।

৫. আঠারো মাসে বছর (কুঁড়ে স্বভাব)—আঠারো মাসে বছর যার,তাকে দিয়ে দ্রুত কাজ হবে না ।

৬. আমড়া কাঠের ঢেঁকি (অপদার্থ)—ওর মতো আমড়া কাঠের ঢেঁকি দিয়ে কাজের কাজ কিছুই হবে না ।

৭. আক্কেলগুড়ুম (ঘাবড়ে যাওয়া)— ছেলের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ব্যবহার দেখে রহমান সাহেবের একেবারে আক্কেলগুড়ুম ।

৮. আক্কেলসেলামি (বোকামির শাস্তি) – বিনা টিকেটে রেলে চড়ে তাকে পঞ্চাশ আক্কেলসেলামি দিতে হলো ।

৯. ইঁচড়ে পাকা (অকালপক্ব)—এতটুকু এতসব তাত্ত্বিক কথা শুনে বুঝলাম ইঁচড়ে পাকা হয়ে গেছে।

১০. ইঁদুর কপালে (মন্দভাগ্য)—ইঁদুর কপালে মেয়েটির পিতৃকুলেও কেউ নেই, মাতৃকুলেও কেউ নেই ।

১১. ঈদের চাঁদ (আকাঙ্ক্ষিত বস্তু)- হারানো ছেলে ফিরে আসাতে বাপ-মা যেন ঈদের চাঁদ হাতে পেলেন ।

১২. উলুবনে মুক্তা ছড়ানো (অপাত্রে দান) – হাসান সাহেবের মতো পাষণ্ড ব্যক্তিকে উপদেশ দেওয়া আর উলুবনে মুক্তা ছড়ানো একই কথা।

১৩. উভয় সংকট (দুদিকে বিপদ) করলে বাপের বেত্রাঘা

১৪. উড়ো কথা (গুজব) — উড়ো কথায় কান না দেওয়াই উত্তম।

১৫. উনপাঁজুরে (দুর্বল, হতভাগ্য)—ঊনপাঁজুরে লোকদের দিয়ে এমন শক্ত কাজ করানো যাবে না ।

১৬. একতাই বল (পারস্পরিক ঐক্য কাজে সাফল্য আনে)–বাবা তার সন্তানদের বললেন যে, “একতাই বল।”

১৭. এলাহি কাণ্ড (বিরাট আয়োজন) – ভেবেছি শিরিনের বিয়েতে তেমন কোনো আয়োজন হবে না, কিন্তু এ যে দেখছি এলাহি কাণ্ড ।

১৮. জন বুঝে চলা (আত্মসম্মান রক্ষা করা)— ওজন বুঝে চলা বুদ্ধিমানের কাজ ।

১৯. ওষুধ ধরা (উপযুক্ত শিক্ষা/শাস্তি পাওয়া) – হেড মাস্টার সাহেবের কড়া শাসনে ছেলেটির ওষুধে ধরেছে বলতে হবে।

২০.কর্তার ইচ্ছায় কর্ম (প্রভুর মনোরঞ্জন করা)— ভালোমন্দ দেখা আমার কাজ নয়, আমি তো শুধু কর্তার ইচ্ছায় কর্ম করি ।

২১. কলুর বলদ (পরাধীন)—সংসারের আবর্তে পড়ে সারাজীবন শুধু কলুর বলদের মতো খেটেই গেলাম ।

২২. কাঠের পুতুল (নির্বাক)—কাঠের পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ৪৬ আমি এ অন্যায় দেখতে পারব না।

২৩. কূপমণ্ডূক (সীমাবদ্ধ জ্ঞান)—দুনিয়াদারী সম্বন্ধে শামীম কিছুই বুঝে না, সে আস্ত একটা কূপমণ্ডূক।

২৪. কংস মামা (নির্মম আত্মীয়)—আমার চারপাশে কংস মামার দল,বুঝেশুনে চলতে হবে।

২৫. কড়ায়-গণ্ডায় (পুরোপুরি)—আমার পাওনা কড়ায়-গণ্ডায় বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত তোমাকে ছাড়ছিনে।

২৬. খাল কেটে কুমির আনা (বিপদ ডেকে আনা)—তাকে ঘরে ঠাঁই দিয়ে খাল কেটে কুমির এনেছ; টের পাবে কিছুদিন পরে।

২৭. খয়ের খাঁ (তোষামোদকারী)— বড়লোকদের খয়ের খাঁর অভাব হয় না।

২৮. গায়ে হাত তোলা (প্রহার করা) – ছোট ছেলেমেয়েদের গায়ে হাত তুলতে নেই ।

২৯. গায়ে মানে না আপনি মোড়ল (নিজে নিজে মাতব্বর)- রফিককে কেউ ডাকে না, তবু বিচার সভায় মোড়লি করতে

৩০. গোফ খেজুরে (অলস) – তোমার মতো গোফ খেজুরে লোকের আসে, একেই বলে গায়ে মানে না আপনি মোড়ল ।

৩১. গোবরে পদ্মফুল (নীচকুলে মহৎ ব্যক্তি)— মেথরের মেয়ে এম. উন্নতি হবে কীভাবে? এ পড়ে, এ যেন গোবরে পদ্মফুল।
গোবর গণেশ

Previous
Next Post »

recent post

তারাশষ্কর রচনাবলী ( ১-২৫ খণ্ড) - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

  Tag: তারাশষ্কর রচনাবলী ( ১-২৫ খণ্ড), তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়,রচনাবলী,Tarasankar Rachanabali,তারাশঙ্কর-রচনাবলী,তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায...